নানা অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
সোমবার (১২ আগস্ট) কলেজের উপাধ্যক্ষ সুভদ্রা চৌধুরীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বদলি হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অসদুপায়ের সুযোগ করে দিতেন। পর্দা করার কারণে নারী শিক্ষার্থীদের কটাক্ষ, হোস্টেল-মাঠ সংস্কার না করেও সংস্কারের নামে টাকা আত্মসাৎ এবং আইসিটি নির্ভর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলেও ল্যাবগুলোতে শিক্ষার্থীদের অনুশীলন করতে না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
সাদিয়া আক্তার নামে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট একজন শিক্ষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন পাবিপ্রবির উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ রাজনীতি করার কারণে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের হাতে নির্যাতিত হলেও তিনি কখনোই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেননি। সব সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে পরিচয় দিতেন। আমরা মেয়েরা পর্দা করার কারণে বিভিন্ন সময় হেনস্থার শিকার হয়েছি।
আবদুর রহমান নামে প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীরা স্যারের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ এনে পদত্যাগ দাবি করেছে। প্রথমে তিনি পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানালেও পরে বাধ্য হয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।
ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ সুভদ্রা চৌধুরী বলেন, রবিবার শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করে। পরে সোমবার বিকালে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী আমার কাছে অধ্যক্ষের দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন। কলেজের সার্বিক পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজাহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাবেক ও বর্তমান কিছু শিক্ষার্থী সোমবার বিকালে ক্যাম্পাসে হট্টগোল শুরু করেন। তারা আমার পদত্যাগ দাবি করে একটি কাগজে সই করতে বলেন। সম্মানের কথা ভেবে সেই কাগজে সই করে দিয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আমাকে অন্যত্র বদলির বিষয়ে অনুরোধ করেছি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ মিছিল, দাবি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ