মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ২১টি যানবাহনসহ ফেরিডুবে যাওয়ার ঘটনায় চতুর্থ দিনের মতো উদ্ধার কাজ চলছে। এছাড়া উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ও উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
শনিবার সকাল ৮টায় শুরু হয় চতুর্থ দিনের উদ্ধার কাজ। সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ পৌঁছে ১০টায় উদ্ধার কাজ শুরু করে।
এদিকে শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত একটি কাভার্ডভ্যান ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার তিনটি কাভার্ডভ্যান ও বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ পাঁচটি কাভার্ডভ্যান এবং আগের দিন বুধবার চারটি ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চার দিনে পাঁচটি ট্রাক, সাতটি কাভার্ডভ্যান ও তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার অভিযান ইউনিটের ইনচার্জ বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক ফজলুর রহমান জানান, তলদেশে আরও একটি কাভার্ডভ্যান শনাক্ত করা হয়েছে। সেটি তোলার চেষ্টা চলছে। সবগুলো যানবাহন উদ্ধার করা হলে পরবর্তীতে ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে। ‘রুস্তম’ ও ‘হামজা’ দিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধার করতে না পারলে বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করছে বিআইডব্লিউটিএ।
উদ্ধার হওয়া যানবাহনগুলো মালিকদের কাছে হস্তান্তর শুরু করেছে। দুপুর ১২টায় ডুবে যাওয়া যানবাহনের মালিকরা ঘাট এলাকায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধনও করেন।
এদিকে উদ্ধার কাজ চলতে থাকায় ৪ নম্বর ও ৫ নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১৯টি ফেরির মধ্যে চারটি ফেরি মেরামতে রয়েছে। ফেরি কম থাকায় পাটুরিয়া ঘাটে দেখা দিয়েছে যানজট। যানবাহনের সারি দুই থেকে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় ৫০০ ট্রাক আটকা পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের ডিজিএম জলিলুর রহমান বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি পার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে পণ্যবোঝাই ১৪টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান এবং সাতটি মোটরসাইকেল নিয়ে রো-রো ফেরি আমানত শাহ নদীতে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: ফেরি উদ্ধারে প্রয়োজনে বেসরকারি সহায়তা নেয়া হবে: বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান