সাম্প্রতিক ফ্রান্স সফরের আলোচনা ও ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি আগামী দিনে ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক আরও টেকসই হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে বিদায়ী ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ-মারিন শুহ সাক্ষাৎ করলে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ফ্রান্স সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানোয় দেশটির প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ দেন শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশে ফলপ্রসূ মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফরাসি রাষ্ট্রদূতের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। কেননা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফরাসি জনগণ সহযোগিতা করেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরাসি সরকার ও জনগণের সহযোগিতার কথা তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারির কারণে সব দেশ ভুগছে। ‘আমাদের বিশাল জনসংখ্যা। তাও আমরা আমাদের অর্থনৈতক কার্যক্রম সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছি।’
আফগানিস্তানে ফ্রান্সের বিশেষ রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ-মারিন শুহকে অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ-মারিন শুহ তার মেয়াদকালে সরকারের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছেন তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং গতবছর করোনার সময় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি চমৎকার ছিল বলেও জানান।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবে এবং একই মাসে দেশটি ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলোর সমন্বয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করবে। সম্মেলনে তারা বাংলাদেশকেও আমন্ত্রণ জানাবে বলেও জানান তিনি।
মহামারি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই সপ্তাহের মধ্যে ফ্রান্স থেকে কোভ্যাক্সের আওতায় ১২ লাখ করোনার টিকা পাবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২০ লাখ ৬০ হাজার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিল ফ্রান্স
যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বুধবার