বুধবার সন্ধ্যায় কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সোইস-ফিলিপ চ্যাম্পাগেনের সাথে টেলিফোনে আলাপের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এই আহ্বান জানান।
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে খুনি নুর চৌধুরীকে দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে পারলে তা হবে এদেশের জনগণের জন্য বড় প্রাপ্তি।
মন্ত্রী চ্যাম্পাগেন কোভিড -১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশে কানাডার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
উন্নয়ন সহযোগিতা, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য, জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা এবং রোহিঙ্গা সংকটকে সমর্থন দেয়ায় কানাডা এবংবাংলাদেশের মধ্যে ভালো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করছে।
এসময় কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি জোট গঠনের প্রস্তাব দেন।
বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের বিষয়টি ‘সকলের দায়িত্ব’উল্লেখ করে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে দেশটির সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সাথে খোলামেলা আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন।
এসময় কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে উদারতা ও মানবিকতা দেখিয়েছে তার প্রশংসা করেন।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে সহযোগিতা বাড়াতে এবং কানাডিয়ান নাগরিকদের বিশেষ বিমানের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে যেতে সহযোগিতা করায় ধন্যবাদ জানান।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে একদল বিপদগামী সামরিক সদস্যরা হত্যা করে।
১৯ নভেম্বর ২০০৯ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হত্যার দায়ে দণ্ডিত সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
তাদের মধ্যে পাঁচজন- সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ এবং মহিউদ্দিন আহমেদকে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ফাঁসি দেয়া হয়। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল ফাঁসি দেয়া হয়। আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
পলাতক খুনিরা হলেন- সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ, এসএইচবিএম নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী এবং রিসালদার মোসলেহউদ্দিন।
সরকার জানিয়েছে, নূর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় অবস্থান করেছেন।