দেশের বন্যাকবলিত ৬ জেলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে আরও বলা হয় ছয়টি জেলার ৪৩টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৩টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৪২ জন মানুষ। এছাড়া ফেনীর ফুলগাজীতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলমান বন্যায় দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি জেলায় দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ হিসেবে নগদ গত ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা বিতরণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। গত ২০ আগস্ট থেকে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া আট হাজার ৫৫০ টন চাল এবং আট হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রামে- নগদ অর্থ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা, ১ হাজার ৬০০ টন চাল, কুমিল্লায়- ২৫ লাখ টাকা ও এক হাজার ৬০০ টন চাল, ফেনীতে- ৪২ লাখ টাকা, ১ হাজার ৪০০ টন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, নোয়াখালীতে- ২৫ লাখ টাকা, ১ হাজার ৬০০ টন চাল, সিলেটে- ২৫ লাখ টাকা, ২ হাজার ১০০ টন চাল ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, মৌলভীবাজারে ১০ লাখ টাকা, ১ হাজার ৮৫০ টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
পানিবন্দি মানুষের জন্য মোট ১ হাজার ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৭ হাজার ৮৮২ জন দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসায় ৩০৯টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
দুর্গতদের সহায়তার জন্য মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ০২৫৫১০১১১৫ নম্বরে যোগাযোগ করে যে কেউ সহায়তা চাইতে পারবেন।
ফেনীতে বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী কাজ করছে। এছাড়া একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার অভিযানে বিজিবির নৌযান আনা হচ্ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বাড়ছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীর পানি।