শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসনগুলো থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নগদ চার কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং এ পর্যন্ত দুই কোটি ৭৪ লাখ ৮০ হাজার ৭০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৬ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ এক কোটি ৭৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৭৩৬ প্যাকেট।
এছাড়াও ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল। গৃহ মঞ্জুরি বাবদ নয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং তিন লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে ।
বন্যাকবলিত জেলাগুলো হচ্ছে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ।
বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৬৩টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা এক হাজার ৭৩টি। পানিবন্দী পরিবারের সংখ্যা ১০ লাখ ১৭ হাজার ৯১৪টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ২৯১ জন।
এছাড়া বন্যায় এ পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে এক হাজার ৪৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত লোক সংখ্যা ৪৬ হাজার ১৫৭ জন ও গবাদি পশুর সংখ্যা ৭০ হাজার ৭৯০টি। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৮৮৬টি এবং বর্তমানে চালু আছে ৩২০টি।