বরগুনা সদর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
শনিবার পুরাতন ঘর ভাঙা শুরু করলে বেলা ২টার দিকে ওই পুরাতন ঘরে থাকা মিটার সংযোগের তার ছুটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- একই এলাকার শাহজান পহলানের ছেলে বেলায়েত পহলান (২৫), হারুন হাজীর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. হেলাল (৩৫) এবং জলিল মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম (১৪)। গুরুতর আহত অন্যজন হলেন, একই এলাকার নিজাম খানের ছেলে আরিফ (২০)।
পরিবারের স্বজনরা জানান, দীর্ঘ আট বছর পর হেলাল প্রবাস জীবন শেষে বাড়িতে আসলে পুরাতন টিনের ঘর ভেঙে সেখানে ভবন নির্মাণের কাজ করতে চায়। পুরাতন ঘর ভাঙা শুরু করলে বেলা ২টার দিকে ওই পুরাতন ঘরে থাকা মিটার সংযোগের তার ছুটে তার শরীরে ও ঘরের টিনে লাগে। তখন হেলালকে কাজের সহযোগিতা করার সময় মামাতো ভাই বেলায়েত, প্রতিবেশী অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া রবিউল ও আরিফসহ মোট চারজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় সকলকে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং একজন গুরুতর আহত থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুৎ বরগুনা জোনাল অফিসের ডিজিএম আরব আলী জানান, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অন্তর্গত, বরগুনা জোনাল অফিসের আওতায় রায়ভোগ অভিযোগ কেন্দ্রের অধীনে কদমতলী গ্রামে বিলাত হোসেন (৩৯৫/২৫০০) নামে এক গ্রাহক অফিসকে অবহিত না করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে নিজেরা নিজেরা ঘর মেরামত করতে গেলে মেরামত কাজে নিয়োজিত চারজন মিস্ত্রির মধ্যে একজনের হাত থেকে টিন নিচে পড়ে গেলে মিটারটি ভেঙে যায় মিটার ভেঙে যাওয়ার ফলে টিন বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে ফলে সঙ্গে সঙ্গে চারজনের মধ্যে তিন জনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল করেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বজনদের দাবি এটি একটি দুর্ঘটনা, তাই যেন লাশ ময়নাতদন্ত না হয়।