টানা বৃষ্টিতে সোমবার বিকালে রাজধানীর অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
রাজধানীর মৌচাক, বিজয় সরণি, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল মারাত্মভাবে ব্যাহত হয়।
আকস্মিক বৃষ্টিতে আটকা পড়ে যানবাহনের অভাবে অনেককে পানির মধ্যদিয়েই হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। অনেককে আবার ফ্লাইওভারের নিচে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
এসময় মৌচাক ও সিদ্ধেশ্বরী এলাকার অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তায় নেমে আসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বিকাল ৩টা পর্যন্ত রাজধানীতে এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা।
এদিকে, উত্তর-পূর্ব সিলেটে ভারী বর্ষণ হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস: আবহাওয়া অফিস
আগামী তিনদিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের ডিমলায় সর্বোচ্চ ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা বিভাগের যশোরে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের রাজারহাটে ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন:তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস