বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে। রাজধানীর করাইল বস্তিবাসীদের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার বিকালে মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবাই টিকার আওতায় আসবে। কাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। রাজধানীর করাইল বস্তিতে তিন লাখের মতো জনসংখ্যা রয়েছে। তাদেরকে টিকা দেয়া হবে কাল, পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিতে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৬৬ লাখেরও বেশি টিকা প্রদান
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বস্তিদায়ক জায়গায় রয়েছে। আমরা করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে পেরেছি। আজকে মাত্র চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংক্রমণটা কিছুটা বেড়েছে। আমরা গত মাস খানেক যাবৎ দেখছি দেশের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার অনেকটাই একইরকম। আমরা চাই দেশের সংক্রমণ এবং মৃত্যু শূন্যের কোটায় চলে আসুক। সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করলে আমরা আশা করি দ্রুতই শূন্যে নেমে আসবে।
টিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ কমার অন্যতম কারণ হলো টিকা। আমরা ইতোমধ্যেই প্রথম ডোজের টিকা দিয়েছি পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি তিন কোটির বেশি মানুষকে। দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৫ লাখ মানুষ টিকা পাচ্ছে। নভেম্বর মাসে তিন কোটি টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আর জানুয়ারি মাসের মধ্যে ৭০ ভাগ ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে ফাইজার, মডার্না, সিনোফার্মসহ দুই কোটি ৭৫ লাখেরও বেশি টিকা মজুদ রয়েছে। দেশে টিকা উৎপাদন কার্যক্রমও আমরা শুরু করেছি। গোপালগঞ্জে টিকা উৎপাদন প্রক্রিয়া চলছে। সবমিলিয়ে অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের সভাপতি ও প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খুলনায় ফের যুবককে একসাথে ২ ডোজ টিকা প্রদান
অনুষ্ঠান শেষে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড-এর যৌথ উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে টিকা সরবরাহে চারটি রেফ্রিজারেটেড ভ্যান দেয়া হয়। এবং পরবর্তীতে আরও ১৪টি রেফ্রিজারেটেড ভ্যান দেয়া হবে জানানো হয়।