রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন,বাংলাদেশের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু জাপান। বাংলাদেশ তার উন্নয়নের জন্য জাপানের কাছ থেকে অনেক বেশি পরিমাণে সরকার উন্নয়ন সহায়তা পেয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ভবিষ্যতেও রেলওয়ের প্রকল্পে জাপানের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় রেল ভবনে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়াওমা কিমিনোরি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: ট্রেন বন্ধ রেখে বাস মালিকদের সুবিধা দেওয়া বিকৃত মানসিকতার পরিচয়: রেলপথমন্ত্রী
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে রেলপথমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় রেলপথমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং রেলওয়ের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
রেলপথমন্ত্রী জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের মাতারবাড়ী রেলওয়ে প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মাতারবাড়ীকে কেন্দ্র করে যে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে তা সম্পন্ন হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটবে। এজন্য সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে গভীর সমুদ্র বন্দর থেকে সরাসারি রেলপথে কন্টেইনার পরিবহন করা যাবে এবং মাতারবাড়ী বন্দর থেকে বিভিন্ন স্থানে দ্রুত পণ্য পরিবহন করা যাবে।’
জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে কাজ করা এবং ভবিষ্যতে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সুসম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সেই সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটবে।’
উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার: রেলপথমন্ত্রী