বিদ্যমান শক্তিশালী সহযোগিতার উপর ভিত্তি করে সম্প্রতি চালু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সরকারের একজন কর্মকর্তা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘নতুন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ব্যুরো, ব্যুরো অব গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি অ্যান্ড কূটনীতি আমাদের সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে এবং আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার আরও বাড়াবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই অনেক ক্ষেত্রে ‘জোরালোভাবে সহযোগিতা’ করছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশনের উন্নতি এবং সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধ বিষয় রয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ১ আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ব্যুরো অব গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি চালু করেছে।
ব্যুরোর লক্ষ্যগুলো হলো- এইচআইভি বা এইডসসহ সংক্রামক রোগগুলোকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সেবা দেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, মার্কিন বৈদেশিক সহায়তার উদ্দেশ্য সাধন এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি আরও বাড়ানো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা বৃদ্ধি করা হলো ব্যুরোটির লক্ষ্য।
এ ছাড়া মার্কিন নেতৃত্বের টেকসই এগিয়ে চলাকে নিশ্চিত করতে, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং কূটনীতিতে নেতৃত্বের একীভূত ভূমিকা পালন করবে এ ব্যুরো। পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরের সক্ষমতা, কার্যকারিতা, কর্মী ও সম্পদকে একত্রিত করবে।
ব্যুরোটির নেতৃত্ব দেবেন ড. জন এন. নেকেনগ্যাসং। তিনি অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ হিসেবে ইউএস গ্লোবাল এইডস কো-অর্ডিনেটর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কূটনীতির জন্য সিনিয়র ব্যুরো কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন এবং সরাসরি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই নতুন ব্যুরোটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক নীতির একটি মূল উপাদান হিসাবে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে একীভূত করবে। বিশ্বব্যাপী মানব স্বাস্থ্যের অগ্রগতির জন্য স্টেট অব স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করবে৷
২০২১ সালের অক্টোবরে ব্লিঙ্কেন তার আধুনিকীকরণ কর্মসূচি হাতে নিয়ে ভবিষ্যতের কাজের জন্য উপযুক্ত একটি স্টেট ডিপার্টমেন্ট তৈরির পদক্ষেপের রূপরেখা দেন।
আলোচ্যসূচিতে আগামী বছরগুলোতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা, বিশেষ করে জলবায়ু, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, সাইবার নিরাপত্তা এবং উদীয়মান প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং বহুপক্ষীয় কূটনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে এমন ক্ষেত্রগুলোতে বিভাগের ক্ষমতা ও দক্ষতা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মার্কিন সরকারের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচ্যসূচি এগিয়ে নিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে ২০২২ সালের এপ্রিলে সাইবারস্পেস এবং ডিজিটাল নীতির একটি নতুন ব্যুরো চালু করা এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সমালোচনামূলক এবং উদীয়মান প্রযুক্তির জন্য বিশেষ দূতের অফিস চালু করা।’
কর্মকর্তা আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সুরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করার প্রচেষ্টার জন্য শীর্ষ ব্যক্তি হলো প্রেসিডেন্ট বাইডেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
বাংলাদেশের সব পক্ষকে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের