বাংলাদেশের হাওর ও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
তিনি বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত ও মানবিক বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হলেও হাওর ও উপকূলীয় এলাকার মতো দেশের অনগ্রসর অঞ্চলগুলোতে অতিদারিদ্র্যের হার এখনও বেশি। তাই এসব স্থানে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে।
রবিবার (১৪ জুলাই) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন পিপিইপিপি-ইইউ প্রজেক্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পিকেএসএফের বাস্তবায়নে ‘পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল– ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (পিপিইপিপি-ইইউ)’ প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়।
হোয়াইটলি আরও বলেন, গত বছর ইইউ ও বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে। পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পটি এ সম্পর্কেরই একটি প্রতিফলন।
কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘গত দেড় দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে এবং এর পেছনে সরকারের বিভিন্ন গণমুখী, সময়োপযোগী পদক্ষেপের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সহায়তা কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।’
মুখ্যসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো অতিদারিদ্র্য নিরসন এবং এ লক্ষ্যপূরণে দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই কার্যক্রম নেওয়ার বিকল্প নেই।
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার।
পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পকে একটি অভিনব প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করে ড. নমিতা হালদার বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও লবণাক্ততার প্রকোপ মোকাবিলার মতো কঠিন বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করা সম্ভব যা একই সঙ্গে সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং।
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে পিকেএসএফের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের অগ্রগতি আশানুরূপ তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্পের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
কর্মশালায় প্রকল্প থেকে পাওয়া সহায়তার সুফল নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সদস্যরা নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
এছাড়া, ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়নাধীন পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা হয় এবং প্রকল্পবিষয়ক একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে গাড়ি রেখে সিএনজিতে ইইউ রাষ্ট্রদূত
'ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ উইথ বাংলাদেশ'র অভিবাসন সুবিধা তুলে ধরলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত