প্রাথমিকভাবে নেপাল বাংলাদেশে ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে। একইসঙ্গে হিমালয়ের দেশটি একটি বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে আরও বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি প্রধানমন্ত্রীকে এসব কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে এসব কথা জানান নেপালের রাষ্ট্রদূত।
এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বর্তমানে একটি মেগা পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
করিম রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করার পর নেপাল বাংলাদেশে আরও বেশি বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারবে’।
ভারতের জিএমআর গ্রুপের তৈরি করা ৯০০ মেগাওয়াট আপার কর্নালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
ঘনশ্যাম ভান্ডারী বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবহারের জন্য তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেননা বন্দরটি বুড়িমারী বন্দরের চেয়ে কাছাকাছি।
তিনি নেপালের প্রতি বাংলাদেশের সহযোগিতার প্রশংসা করে বলেন, অনেক নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে এসে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে।
শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং তার কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নেপালের মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সহায়তার কথা তুলে করেন। তিনি সেগুলোকে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে নেপাল, ভুটান ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ কর্মসূচিতে নেপালের প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক বাংলাদেশে সফরের কথা তুলে ধরে বলেন, এটি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতি বাড়িয়েছে।
তিনি নেপালের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।