বাংলাদেশে বাড়ছে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি) আরও ৩৭ জনের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতির কথা জানিয়েছে। সবমিলিয়ে দেশে এই ভ্যারিয়েন্টে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০৬ জনে পৌঁছেছে।
সর্বশেষ কেসগুলো প্রাভা হেলথের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে, পরবর্তীতে সেগুলোকে বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবে জমা দেয়া হয়।
বাংলাদেশে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্যের দেহে এই ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সে সময় তারা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাইপর্ব না খেলেই ফিরে আসেন।
করোনাভাইরাস মহামারির এই ধরনটিকে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক বলে ধারণা করছে বিজ্ঞানীরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গত ২১ জানুয়ারি জানান, বাংলাদেশে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ফলে ধীরে ধীরে এটি ডেল্টার জায়গা নিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, ওমিক্রন কমিউনিটি পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি আক্রান্তের লক্ষণগুলোর সঙ্গে মৌসুমী ফ্লুর মিল রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ৪৬, শনাক্তের হার ৪৯.৪৬
বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও আট হাজার ৩৪৫ জন। এ পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫৮৯ জনে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ হাজার ৮২১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৫৩২ জনে পৌঁছেছে। এসময় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও আট হাজার ১৫৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ দুই হাজার ৫৫০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৯ শতাংশ।