সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সমীক্ষায় দেখা গেছে, অনিয়ম, প্রতিষ্ঠানের অক্ষমতা এবং কর ফাঁকির প্রবণতার কারণে বাংলাদেশ প্রতি বছর ৮৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে।
সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে যে, প্রায় ৬৮ শতাংশ মানুষ করযোগ্য আয় করার পরেও আয়কর দেন না।
সোমবার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সিপিডি তাদের ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ গবেষণা পত্রটি উপস্থাপন করে।
গবেষণাটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘কর্পোরেট ট্যাক্স ট্রান্সপারেন্সি ইস্যুস অ্যান্ড কনসার্নস ইন বাংলাদেশ এর ইমপ্লিকেশনস অন ট্যাক্স লস অ্যান্ড সোশ্যাল স্পেন্ডিং।’
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের অবনতি হয়েছে: সিপিডি
গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
মোয়াজ্জেম বলেন, করযোগ্য আয় করেও ৬৮ শতাংশ মানুষ আয়কর দেন না। অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কর দেওয়ার যোগ্য থাকা সত্ত্বেও কর দেন না। তাই কর জিডিপি অনুপাত না বাড়ার এটাই বড় কারণ।
অন্যদিকে, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে দুই লাখ ১৩ হাজার কোম্পানি নিবন্ধিত হলেও রিটার্ন দাখিল করেছে মাত্র ৪৫ হাজার কোম্পানি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনানুষ্ঠানিক খাতের আয়তন জিডিপির ৩০ শতাংশ। ২০১০ সালে অনানুষ্ঠানিক খাতে করের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, যা ২০২১ সালে বেড়ে ৮৪ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।
ছায়া অর্থনীতিতে প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারায়, যাকে অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিও বলা হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, এ অর্থ অন্তর্ভুক্ত হলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় তিনগুণ হতে পারে। অর্থাৎ করনেট বৃদ্ধির প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত।
মোয়াজ্জেম আরও বলেন, একটি বড় অংশ করের বাইরে রয়ে গেছে, যার ফলে কর লস দিন দিন বাড়ছে।