‘আজ, বাংলাদেশ সামাজিক-অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে যে উন্নয়ন করেছি তার জন্য সবাই আমাদের প্রশংসা করেছে,’ তিনি বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনের আয়োজনের ষষ্ঠ দিনে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বরাবরই মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার ছিলেন এবং চেয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হোক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল সবার জন্য খাদ্য, পোশাক, আশ্রয়, ওষুধ এবং শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সুবিধার জন্য নেপালের সাথে পিটিএ চান প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনিদের হাতে বঙ্গবন্ধু তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ খুন হওয়ার পর বাংলাদেশের অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা পর পর ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় এসেছি, আজ আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার নির্দেশিত পথে উন্নয়নের যাত্রা পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত মাসে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক সফরে ঢাকায় নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক গভীর করতে চায় নেপাল
ঢাকা-মালদ্বীপ ৪ সমঝোতা স্মারক সই
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আজ বাস্তব: ট্রুডো
বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র নেপালও একই সাথে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে এবং নিজে নেপাল সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানান।