বাংলাদেশকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার’ হিসেবে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য আগামী দিনে সব ক্ষেত্রে সহযোগিতার অনুসন্ধানও করছে দু’দেশ। তবে মার্কিন সহায়তা যেন দেশটির আইন ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ব্যবহার করা হয়-তাও নিশ্চিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
‘লেহি’ আইনের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘লিখিত চুক্তি’ করার জন্য বাংলাদেশের ‘এখনও সুযোগ’ রয়েছে। আইনটিকে একটি বৈশ্বিক প্রয়োজন বলেও মনে করে দেশটি। রবিবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে এসব কথা বলেছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি এই আইনটি কার্যকর হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টির আইনি দিকগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে এখনও সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ।
এই বিলম্বের ফলে কোনো প্রভাব পড়ছে কি না জানতে চাইলে মার্কিন দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘(এখন পর্যন্ত) কোনো প্রভাব পড়েনি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র: কংগ্রেসম্যান মিকস
এর আগে বলা হয়েছিল, এ ব্যাপারে একটি লিখিত চুক্তি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পরপরই কার্যকর হবে।
এই সহযোগিতা যে পাবে সে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করবে না এটা নিশ্চিত করবে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, মানবাধিকারের যেন লঙ্ঘন না হয় তা লেহি আইন নিশ্চিতে সহায়তা করে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘দৃঢ়’ এবং তারা আরও বেশি সহযোগিতার সঙ্গে এটিকে প্রসারিত করার প্রত্যাশা করে।
মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যবসা, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমাদের যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে তা গড়ে তোলার জন্য এই বছরটি সত্যিই একটি সুযোগ।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করতে বিএনপি-জামায়াত লবিস্ট নিয়োগ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লেহি আইনটি সামরিক ও আইন প্রয়োগকারী কর্মসূচির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আইনটি এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক মার্কিন সিনেটর প্যাট্রিক লেহির নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে।
যে সব বিদেশি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে সেগুলোকে সহায়তা প্রদানে নিষিদ্ধ করতে এই আইনে বিধান রাখা হয়েছে।