প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাংক বুঝতে পেরেছে যে তারা পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল।
বুধবার জাতীয় সংসদে তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
ঢাকা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বুঝতে পেরেছে যে তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে তার সাম্প্রতিক সফর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে এক আলোচনায় তিনি আবারও বিশ্বব্যাংকের উদ্দেশ্যমূলকভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ আনার বিষয়ে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্যে আমি দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেছি যে, কখনই এমন কোনো অসৎ উদ্দেশ্যকে পৃষ্ঠপোষকতা দেবো না, যা বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে বাইরের শক্তি ক্ষমতায় বসাতে পারবে না, বরং সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, দেশে বর্তমানে (মে মাস পর্যন্ত) মজুদকৃত খাদ্যশস্যের পরিমাণ ১৬ লাখ ২৭ হাজার টন।
তিনি বলেন, ‘মোট খাদ্যশস্যের মধ্যে চালের পরিমাণ ১২ দশমিক ২৫ লাখ টন, গম ৩ দশমিক ৯৬ লাখ টন এবং ধান ৯ হাজার টন।’
সংসদ নেতা হাসিনা বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে খাদ্য মজুদ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ৪ লাখ টন চাল ও ১২ লাখ ৫০ হাজার টন চালসহ মোট ১৫ লাখ ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ করা হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ টন দেশীয় গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সর্বোচ্চ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি অর্থ বছরে এ পর্যন্ত (২৩ মে, ২০২৩ পর্যন্ত) ৬ দশমকি ৩৪ লাখ টন চাল ও ৬ দশমিক ৮০ লাখ টন গম আমদানি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের নতুন নতুন এলাকায় ‘জিওলজিক্যাল সার্ভে অ্যান্ড সিসমিক সার্ভে’ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির এমপি মশিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নীত হওয়ার ফলে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের পর ভারতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে না।
আরও পড়ুন: সংসদে দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভারতে পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বিবেচনায় নিয়ে, ভারতের সঙ্গে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আশা করছেন, ‘এটি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। সিইপিএ সই হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৯০ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এটি জিডিপির ১ দশমিক ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১৭৪টি দেশে ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী কর্মরত আছেন।