বাগেরহাটে বন বিভাগের সদস্যদের ওপর সুন্দরবনের হরিণ শিকারিদের হামলা ও অস্ত্র ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। নয়জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫ থেকে ২০ জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের জিউধরা স্টেশন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মোড়েলগঞ্জ থানায় ওই মামলা করেন। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ ওই মামলার কোন আসামি আটক করতে পারেনি।
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, বন বিভাগের সদস্যদের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাঁধা, অস্ত্র ভাঙচুর, গুলি ছিনিয়ে নেয়া এবং মারধরের অভিযোগ এনে বন বিভাগ এজাহার দায়ের করে। মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। শিগগিরই আসামিরা ধরা পরবে বলে তিনি আশাবাদী।
আরও পড়ুন: বন বিভাগের অনুমতির আগেই ২০০ গাছ কেটে ফেলল সিসিক
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) এনামুল হক জানান, বন বিভাগের সদস্যদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তারা সবাই সুন্দরবনের হরিণ শিকারি চক্রের সদস্য। এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোরে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা গ্রামে হরিণের মাংস উদ্ধার করতে গেলে একদল হরিণ শিকারি বন বিভাগের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। হামলায় বন বিভাগের দুজন নৌকা চালক আহত হয়। হামলাকারীরা এসময় বন প্রহরীদের একটি চাইনিজ রাইফেল ভাঙচুর করে এবং পাঁচ রাউন্ড গুলি লুট করে। এরপর বন বিভাগের সদস্যদের তারা একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এবং বন কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর চরে হবে বন বিভাগের টহল ফাঁড়ি