পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, বাঘ সংরক্ষণে সুন্দরবনে মানুষের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। সুন্দরবনের রক্ষক বাঘ সংরক্ষণে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।

বৃহস্পতিবার বিকালে ‘বাঘ বাঁচায় সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচায় লক্ষ জীবন’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে বন অধিদপ্তর আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনে বাঘের বসবাস উপযোগী নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে মানুষের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।

আরও পড়ুন: বাঘ শিকারি ‘বাঘ হাবিব’ আটক

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, করোনাকালে সুন্দরবনে মানুষের উপদ্রব কম হওয়ায় বাঘের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু মানুষের জন্য বিশ্ব ঐতিহ্যের সুন্দরবন ও জাতীয় পশু বাঘের কোনো প্রকার ক্ষতি হতে দেয়া হবে না।

বাঘ সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের লক্ষ্যে রক্ষিত এলাকার পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। বাঘ শিকার প্রতিরোধে সুন্দরবনের মধ্যে জিপিএস এর সাহায্যে ‘স্মার্ট পেট্রোলিং’ পরিচালনা করা হচ্ছে। সুন্দরবনে বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বন বিভাগ ড্রোন ব্যবহার করছে। বন্যপ্রাণীর সুপেয় পানির জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক মিঠাপানির পুকুর খনন করা হয়েছে। সুন্দরবনে বর্তমানের একশটি বাঘের সংখ্যা দ্বিগুন করতে কাজ করছে সরকার।

উপমন্ত্রী বলেন, বাঘ সংরক্ষণে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বন বিভাগের উপ-প্রধান বন সংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসিন হোসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন: ফের ফটিকছড়ির লোকালয়ে মেছো বাঘ

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল,  অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু প্রমুখ।