দেশ থেকে বিদেশে পাচার করা অর্থ কর দিয়ে বৈধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং বিশ্বের কিছু অংশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবছরে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। সেই জন্য আমাদের রাজস্ব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে আরও বিচক্ষণ এবং দূরদর্শী হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিকে সচল রাখতে একদিকে যেমন সরকারি খরচের জন্য আরও বেশি রাজস্বের যোগান দিতে হবে, অন্যদিকে বেসরকারি খাতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও প্রাণবন্ত ও গতিশীল করতে হবে।’
এ অবস্থায় মন্ত্রী বিদেশে অর্জিত অর্থ এবং অর্জিত সম্পদ অর্থনীতির মূলস্রোতে আনার মাধ্যমে নতুন তহবিল এবং বিনিয়োগের প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এ একটি নতুন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করেন।
প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী, আয়কর কর্তৃপক্ষসহ কোনো কর্তৃপক্ষ বিদেশে অবস্থিত কোনো সম্পদের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না যদি কোনো করদাতা এই ধরনের সম্পদের ওপর কর দেন।
বিদেশে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে ১৫ শতাংশ, বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে ১০ শতাংশ এবং বাংলাদেশে পাঠানো নগদ অর্থের ওপর ৭ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব করেন মন্ত্রী।
কামাল বাজেট বক্তব্যে বলেন, এই সুযোগটি ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৫.৪ শতাংশ
বাজেট ২০২২-২৩: মূল্যস্ফীতিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থমন্ত্রী