২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সে অনুযায়ী আগামী ১ জুলাই থেকে বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম-
সিগারেট: তিন স্তরের সিগারেটের ওপর ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাড়বে সব ধরনের সিগারেটের দাম।
মোবাইল ফোন: সিম কার্ডের দাম বাড়িয়ে ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও বাড়বে মোবাইলে কথা বলার ব্যয়। বর্তমানে একজন গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭৩ টাকার কথা বলতে পারেন। আর বাকি ২৭ টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ মোবাইল অপারেটররা কেটে রাখে। প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলে ভোক্তা ৬৯ টাকা ৩৫ পয়সার কথা বলতে পারবে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে টেলিকম পরিষেবা
আইসক্রিম: আইসক্রিমে সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ফলে বাড়বে আইসক্রিমের দাম।
বৈদ্যুতিক মিটার: প্রি-পেইড মিটার ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক মিটারের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার পার্টস ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক মিটার যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
পানির ফিল্টার: বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত পানির ফিল্টার আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। দেশে উৎপাদনের কারণে পানির ফিল্টার আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
শুল্কমুক্ত গাড়ি: বর্তমানে সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে গাড়ি আমদানি করতে পারেন। সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কোমল পানীয়-এনার্জি ড্রিংকস: কোমল পানীয়, কার্বনেটেড বেভারেজ, এনার্জি ড্রিংকসের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এ ছাড়া কার্বনেটেড পানীয়ের ওপর ন্যূনতম কর আরও ২ থেকে ৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। ফলে এসব পণ্য বেশি দামে কিনতে হবে।
কাজু বাদাম: দেশে কাজু বাদাম চাষকে গুরুত্ব দিতে খোসাযুক্ত কাজু বাদাম আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে কাজু বাদামের দাম বাড়তে পারে।
এসি: বিলাসিতা পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে দেশে এসি উৎপাদনে ব্যবহৃত কম্প্রেসর ও সব ধরনের উপকরণের ওপর ভ্যাট ৫ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। তাই এসির দাম বাড়তে পারে। এসি বিক্রিতে ভ্যাট ৫ শতাংশ বেড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হওয়ায় ফ্রিজ উৎপাদনে খরচ বাড়বে।
এলইডি বাল্ব: এলইডি বাল্ব ও এনার্জি সেভিং বাল্ব উৎপাদনের জন্য উপকরণ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়ায় এলইডি বাল্বের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সিএনজি-এলপিজিতে রূপান্তর ব্যয়: গাড়ির সিএনজি-এলপিজি রূপান্তরে ব্যবহৃত কিট, সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এই কারণে গাড়ি রূপান্তর ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকারি ব্যয় কমেছে ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা