বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অপহরণসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় বড় আকারের যৌথ অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সমন্বয়ে এই অভিযান জননিরাপত্তা বজায় রাখার প্রচেষ্টার একটি বড় অগ্রগতির চিত্রায়ন করছে।
রবিবার বান্দরবান সেনানিবাসে সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এই অপারেশনে সফল হতে প্রকাশ্য ও গোপন উভয় কৌশল প্রয়োগ করছি।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
সাম্প্রতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড স্থানীয় জনগণকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে জনগণকে আশ্বস্ত করতে জেনারেল আহমেদসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা বান্দরবান সফর করেছেন।
শুক্রবার রাতে বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের পর এই অভিযানের আরও অগ্রগতি হয়। জেনারেল আহমেদের মতে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এমন দলগুলোর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দৃঢ় সংকল্পের ইঙ্গিত হলো তাদের গ্রেপ্তার করা। তিনি বিশেষভাবে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কথা উল্লেখ করে জানান, এই দল আগে শান্তি আলোচনায় জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, ‘শান্তির সম্ভাবনা সত্ত্বেও কেএনএফ অপরাধমূলক আচরণে ফিরে গেছে।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সোনালী ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র ডাকাতি, ম্যানেজার অপহৃত ও দেড় কোটি টাকা লুট
তিনি আরও বলেন, ‘গত জুনে কোণঠাসা হওয়ার পর তারা আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক বলে মনে হয়েছিল। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখায় বোঝা যায় শান্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার দৃঢ় ছিল না।’
এর আগে সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনকল্যাণে এই মিশনের গুরুত্ব তুলে ধরে অপরাধ দমনে সাহসিকতা ও সতর্কতার আহ্বান জানান জেনারেল আহমেদ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ