পরামর্শ
সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে একক ইউনিয়ন গঠনের পরামর্শ সংস্কার কমিশনের
আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সাংবাদিকদের মর্যাদাও নিশ্চিত হবে না বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। তিনি বলেছেন, এই কমিশনের কাজ হলো, স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করার জন্যে সংস্কার সুপারিশ করা। সে কারণে আমরা বলতে পারি, স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো—আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে পারে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশন প্রধান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অমরা প্রতিবেদন পেশ করব। এরপর সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সরকারের ওপর সাংবাদিকদেরই চাপ দিতে হবে। সাংবাদিকরা চাপ না দিলে এই সংস্কারের একটিও বাস্তরায়ন হবে না।
কামাল আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে গেছে। অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হলে তাদের পক্ষ থেকে একক ইউনিয়নের জন্য চাপ দিতে হবে। সংস্কার সম্পর্কে গণমাধ্যমের বাস্তবতা সম্পর্কে আমরা এর আগেও সাতটি জায়গায় শুনেছি। একই কথা বলা হয়েছে।
ওয়েজবোর্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি সংস্কার কমিশনের আওতাভুক্ত নয়।’
আরও পড়ুন: ৭ খাতে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জামায়াত সেক্রেটারি
সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মতামতের পাশাপাশি গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় অংশীদার পাঠক ও দর্শক-শ্রোতা, তাদের মতামতও বিবেচানায় নেব। এ কারণে আমরা জাতীয় ভিত্তিতে একটি গণমাধ্যম সমীক্ষা ন্যাশনাল মিডিয়া সার্ভে করেছি। ১ থেকে ৭ জানুয়ারি সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪৫ হাজার বাড়িতে গিয়ে আমাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা মানুষের মতামত নিয়ে এসেছেন। তার ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি, গণমাধ্যম সম্পর্কে তাদের কী প্রত্যাশা রয়েছে। এগুলোর সবকিছুই বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কাজ এগোবে। সেভাবেই আমরা আমাদের সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরব।’
এ সময় কমিশনের সদস্য মোস্তফা সবুজ ও আক্তার হোসেন খানসহ সাংবাদিক বাবুল হোসেন, দেলোয়ার খান, সুলতান মাহমুদ কনিক, হারুনুর রশিদ, আবু সালেহ মো. মুসা, হোসাইন শাহিদ, কামাল হোসেন, নজীব আশরাফ, এম এ জলিল, কিবরিয়াসহ ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
৭৮ দিন আগে
বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় আরাকান আর্মির সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির (এএ) ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জন্য একটি স্পষ্ট জাতীয় কৌশল প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা সতর্ক করেছেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে সময়মতো যোগাযোগ স্থাপন না করলে ‘সুযোগ হারানোর’ আশঙ্কা রয়েছে, বিশেষত যখন বহির্বিশ্ব নৌপথের মাধ্যমে রাখাইনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) আয়োজিত ‘মংডুর পতনের পর রাখাইন: বাংলাদেশের ও অঞ্চলের জন্য প্রভাব’ শীর্ষক এক নীতিনির্ধারণী আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে।
এতে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, সাবেক কূটনীতিক এবং শিক্ষাবিদরা রাখাইন রাজ্যের ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন ও তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনাটি পরিচালনা করেন বিআইপিএসএস-এর প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) এএনএম মুনিরুজ্জামান।
আলোচকদের মধ্যে ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক, মিয়ানমারে বাংলাদেশের প্রাক্তন ডিফেন্স অ্যাটাশে এবং লিবিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসি।
রাখাইনে আরাকান আর্মির আধিপত্য
আলোচনায় জানানো হয়, রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশেরও বেশি এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে, যার মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তও অন্তর্ভুক্ত।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিআইপিএসএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাফকাত মুনির বলেন, পরিস্থিতি থেকে সুবিধা আদায়ের উপায় খুঁজে বের করার কৌশল নিতে হবে। আলোচকরা আরাকান আর্মির সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
মুনিরুজ্জামান ভারত কীভাবে তার মিয়ানমার কৌশল পুনর্বিন্যাস করেছে তা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশেরও স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি রাখাইনের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এটি বঙ্গোপসাগরের নৌপথে প্রবেশাধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং অঞ্চলটি সম্পদসমৃদ্ধ ও বহু-জাতিগোষ্ঠী সমন্বিত।
চীনা এবং ভারতীয় স্বার্থ
তিনি আরও বলেন, রাখাইন রাজ্যের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়ছে, বিশেষ করে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এবং বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোরের পরিপ্রেক্ষিতে। এছাড়া চীন-মিয়ানমার তেল ও গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প রাখাইনের সংযোগকেন্দ্র হিসাবে ভূমিকা তুলে ধরে।
সহকারী অধ্যাপক আব্বাসি বলেন, জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন একটি বাস্তবধর্মী কৌশল। সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব না হলে অনানুষ্ঠানিক উপায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনি সতর্ক করেন, আরাকান আর্মির আধিপত্য বাড়লে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
আব্বাসি বলেন, রাখাইনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের অংশগ্রহণহীনতা উল্লেখযোগ্য। তিনি মিয়ানমারকে একটি ‘ছায়াযুদ্ধের ক্ষেত্র’ হিসেবে অভিহিত করেন। এছাড়া রাখাইনের ভবিষ্যৎ নিয়ে কূটনৈতিক অবস্থানের পরিবর্তনকে তিনি ভূরাজনৈতিক অগ্রসরতার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন।
রোহিঙ্গা সংকট এবং আরাকান আর্মি
আব্বাসি আরও বলেন, আরাকান আর্মির ‘আরাকান স্বপ্ন’ রোহিঙ্গাদের কোনো স্থান দেয় না। তিনি সতর্ক করেন যে, আরাকান আর্মি পূর্ণ স্বাধীনতার পরিবর্তে কনফেডারেশন পদ্ধতির পক্ষে থাকলেও তাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।
শাহিদুল হকের দৃষ্টিভঙ্গি
মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনকে ‘উইন-উইন’ পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এটি একদিকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং অন্যদিকে অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে। তবে তিনি সতর্ক করেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদে মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
নীতি নির্ধারণী আলোচনার সমাপ্তি
আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীরা নিরাপত্তা ঝুঁকি, অর্থনৈতিক সুযোগ এবং আঞ্চলিক ভূরাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন। তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পুনর্বাসন প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষায় টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
১০২ দিন আগে
কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ বাংলাদেশের
কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের জন্য স্বীকৃত উজবেকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তে বাড়ির ভেতরে থাকতে এবং এ সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় দূতাবাসের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগের জন্য জরুরি নম্বরে- +৯৯৮৯৩০০০৯৭৮০ কল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অনবদ্য প্লাটফর্ম নারী স্পিকারদের সামিট: স্পিকার
শনিবার(১৮ মে) রাতে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাস কিরগিজ প্রজাতন্ত্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশকেকে সাম্প্রতিক গণসহিংসতার বিষয়ে যোগাযোগ রাখছে বলে।
দূতাবাস এ বিষয়ে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে।আরও পড়ুন: কিরগিজস্তানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
৩৩৩ দিন আগে
ব্যাংকগুলোর পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশে বাংলাদেশ ব্যাংককে আইএমএফের পরামর্শ
জনস্বার্থে অনাদায়ী ও ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিস্তারিত ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশের পরামর্শ দিয়েছে সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দল এ পরামর্শ দেয়।
বৈঠকে আইএমএফ ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা ও পরিদর্শন প্রতিবেদন গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করতে বলেছে। একই সঙ্গে অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঋণ কেলেঙ্কারি রোধে পরিদর্শনের সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ দেন প্রতিনিধি দল।
সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বড় ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের কারণে ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ বাড়ছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংক দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে ইতোমধ্যে স্বীকারও করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
তাই সংকটে পড়া ব্যাংকগুলোতে মানুষের আমানতও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছে আইএমএফ। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন গ্রাহকদের সামনে প্রকাশ করার পরামর্শ দিয়েছে বৈশ্বিক এ ঋণদাতা।
আরও পড়ুন: আবারও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে আইএমএফ
আইএমএফ কর্মকর্তাদের মতে, 'এসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গ্রাহকরা তাদের আমানত রাখার বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।’
বৈঠকে আইএমএফ ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন অব্যাহত আছে কি না, তা জানতে চেয়েছে। পরিদর্শন প্রতিবেদনগুলো গ্রাহকদের কাছে প্রকাশ করা হয় কি না সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা চাওয়া হয়েছে।
সূত্রটি বলছে, অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঋণ কেলেঙ্কারি রোধে গুণগত মান ও পরিদর্শনের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক চলছে। আগামী ৮ মে পর্যন্ত ধাপে ধাপে এই বৈঠক চলবে। তিনি এর বাইরে অন্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি এবং বলেছিলেন যে ভবিষ্যতে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
৩৫৩ দিন আগে
মাস্ক পরার পরামর্শ পরিবেশ অধিদপ্তরের
বায়ুমান সূচকে ঢাকার বায়ুদূষণ ৩০০ এর বেশি হলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনায় ঘরের বাইরে অবস্থানকারী জনসাধারণকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পাশাপাশি অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু ও বয়স্কদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া বা দূষণের মাত্রা বিবেচনায় অন্য পরামর্শ দেওয়া হবে।
বায়ুদূষণ বায়ুমান সূচকে ৩০০ এর কম হলে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশনায় বায়ু দূষণ নিয়ে জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক পরামর্শ প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বায়ু দূষণের মাত্রা বিবেচনায় এখন থেকে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশের বায়ুমানের অবস্থা পরিবীক্ষণের লক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও শিল্পঘন শহরগুলোতে ১৬টি কন্টিনিউয়াস এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম (সিএএমএস) থেকে পরিবীক্ষণ ডাটা রিয়াল টাইম অটোমেশন পদ্ধতিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রচার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের কালিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
৪২১ দিন আগে
শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে আলোচনা করে করলে ভালো হয় বলে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইএলও-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা শ্রম আইনের যে সংশোধন, সেটার বিষয়ে বসেছিলাম। এর আগে সংশোধনীর কথা হয়েছিল, সেখানে কিছু নতুন সংশোধনী আনার ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয় আমাকে জানিয়েছিল। সে বিষয়ে আইএলও কিছু বক্তব্য দেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, জেনেভা থেকে আইএলও- এর চারজনের একটি টিমও আজকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন। বৈঠকে শ্রম আইনের প্রায় প্রত্যেকটা ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম, শ্রম আইনটা পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনে পাস করার জন্য। কিন্তু আইএলও প্রতিনিধিদল বলেছেন, তারাহুড়ো না করে, আলোচনা করে আরও কিছু করতে পারলে ভালো হবে।
আনিসুল হক বলেন, আমি তাদের পরিষ্কারভাবে একটা কথা জিজ্ঞেস করেছি যে, আইএলও’তে আমাদের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে একটা অভিযোগ ঝুলে আছে। প্রত্যেকবারই বলেন যে, এটা মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত হবে না, নভেম্বরে যাবে। আবার নভেম্বরে হবে না মার্চে যাবে। আমি সেজন্য বলেছি মার্চ মাসের গভর্নর বডির মিটিংয়ে যদি বলেন, এটা আবার নভেম্বরে যাবে। সেটা তো আমরা নিতে রাজি না।
তখন তারা বলেছে, কমপ্রিহেন্সিভ লেবার অ্যাক্ট (সমন্বিত শ্রম আইন) তাদের পরামর্শ মিলিয়ে যদি করতে পারি তাহলে সেটা এই মার্চ মাসে আমাদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা হবে না, বরং আমরা যে আলোচনাগুলো করছি সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নীতিনির্ধারকরা। এই আইনের কিছু কিছু বিষয় আছে, তা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। তাই আমরা দুইটি সিদ্ধান্তে এসেছি।
একটা হচ্ছে এই মিটিং আবারও অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে আইএলও-এর উদ্যোগে একটা অংশীজনদের ফ্যাসিলিটি মিটিং হবে। সেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য আছে- সেগুলো আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
আজ তারা কী পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, তারা বলছেন, ‘সি ম্যান’ এর নাম বদলিয়ে ‘সি ফেয়ারার’ নাম করা। ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের ওয়ার্কার বলা।
তিনি বলেন, একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদের ওয়ার্কার বলতে হবে, আমি সেটা নাকচ করে দিয়েছি।
আমি বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদের আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। তার কারণ হচ্ছে, ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে, তাদের ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে, আমরাও চাই না।
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।
তিনি বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশ হবে শুধু তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে যেসব কারখানা শ্রমিক আছে তাদের। এখন আমরা সেটাও তুলে দিচ্ছি। সকল শ্রমিকদের ব্যাপারে ১৫ শতাংশ কাজ করবে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
৪৩৫ দিন আগে
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরুতেই আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্স চালু না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন যেসব বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, সেগুলো কেন শুরুতেই আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্স চালু করছে?
তিনি বলেন, সেই জেলায় ইতোমধ্যে যেসব সরকারি কলেজ আছে তাদের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলো মনিটরিং করুক। এছাড়া আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলো মনিটরিং করবে এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা করে করবে।
আরও পড়ুন: মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োজনে পরিবর্তন আসবে: শিক্ষামন্ত্রী
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন সব কলেজ বা শতবর্ষী কলেজগুলোকে রেসপেক্টিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত করে একাডেমিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুরুতেই স্নাতক কোর্স পরিচালনা না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
মন্ত্রী আরও বলেন, ওপেন ইউনিভার্সিটি সারা দেশের নন ফরমাল এডুকেশনের অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজটা করছে। তাহলে কেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কলেজের অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজ করতে পারবে না। এক সময় তো করত। আগে যদি করার ক্যাপাসিটি থেকে থাকে তাহলে এখন তো সিস্টেম আরও বাড়ার কথা।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত কলেজকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেখানেও হয়তো চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জটা তো আমরা অতিক্রম করছি।
আরও পড়ুন: ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু করছেন শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করেছে। কিন্তু আমরা নড়িনি। ৭ কলেজের মানোন্নয়ন হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি অ্যাকাডেমিক স্ট্যান্ডার্ড মনিটরিংয়ে কাজ করতে পারে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেন করতে পারবে না।
এসব ক্ষেত্রে আইন সংশোধন করতে হলে মন্ত্রণালয় তা করবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলাম-মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেলা পর্যায়ে সেসব বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেসব জেলায় যেসব সরকারি কলেজ আছে, তাদের অ্যা্ক্যাডেমি মনিটরিংয়ের কাজটা করবে।
৪৫৬ দিন আগে
বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে পরামর্শ দিতে ফ্রি হটলাইন চালু করল ব্যাঙ্গালোরের অ্যাপোলো হাসপাতাল
এন্ডোস্কোপিক মেরুদণ্ডের সার্জারি এবং মাথা ও ঘাড়ের দাগহীন অস্ত্রোপচারের জন্য বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে পরামর্শ দিতে যৌথ উদ্যোগে হটলাইন নম্বর চালু করেছে কেয়ারট্রিপ ডটকম (Karetrip.Com) ও ব্যাঙ্গালোরের অ্যাপোলো হাসপাতাল।
এই হটলাইন নম্বর (+91 96320 57050 ভারত) থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বাংলাদেশি রোগীরা অ্যাপোলো হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে বিনামূল্যে পরামর্শ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণকাজের উদ্বোধন
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাপোলো হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোরের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং হেড অ্যান্ড নেক অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সতীশ নায়ার এবং একই হসাপতালের নিউরোসার্জন বিশেষজ্ঞ ডা. শচীন জিআর।
তারা নতুন এই পরিষেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় সাংবাদিক ছাড়াও, বিভিন্ন স্বাস্থ্য পেশাজীবী, চিকিৎসক ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- মেরুদণ্ড, মাথা ও ঘাড় সংক্রান্ত চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের জন্য সঠিক হাসপাতাল, সঠিক চিকিৎসক এবং খরচের বিষয়ে রোগীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিভ্রান্তিতে থাকেন। তাদের এই সমস্ত বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা ও তথ্য প্রদোনের লক্ষ্যে এই হটললাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বসেই রোগীরা বিন্যামূল্যে অ্যাপোলো হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ২৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক ডা. সতীশ নায়ার মেরুদণ্ড, মাথা ও ঘাড়ের চিকিৎসায় বৈপ্লবিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন এবং অ্যাপোলো হাসপাতাল, ব্যাঙ্গালোর থেকে চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন দেশের রোগীদের সুস্থ জীবনে ফেরার গল্প তুলে ধরেন।
নিউরোসার্জন ড. শচীন জিআর মাথা ও মেরদণ্ডের যত্নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। মস্তিষ্কের টিউমার, স্কোলিওসিস ও পিঠের ব্যথায় ভুগছেন এমন রোগীদের চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশ্বাস দেন তিনি।
কোমর ব্যথায় আক্রান্ত সব রোগীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না উল্লেখ করে তিনি জানান, অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অ্যাপোলো হাসপাতোলের বিশেষজ্ঞরা আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীকে নিখুঁতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে আ. লীগ ক্ষমতায় এলে ঢামেক হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা অন্বেষণে এমভিটি জোট ও হায়দ্রাবাদের কিমস হাসপাতালের বৈঠক অনুষ্ঠিত
৫৩৬ দিন আগে
দুর্গাপূজা ২০২৩: সুষ্ঠুভাবে উদযাপনে পুলিশ সদর দপ্তারের পরামর্শ
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়কে কিছু পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের উদ্দেশ্যে ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস আইজিপি’র
এদিকে পূজা আয়োজকদের বলা হয়েছে, নারী ও পুরুষ ভক্তদের জন্য পৃথক প্রবেশ পথ তৈরি করতে। সকলকে পূজামণ্ডপে ব্যাগ বহন করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সিসিটিভি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আর্চওয়ে স্থাপন করতে বলা হয়েছে।
বিসর্জনের দিনে পর্যাপ্ত আলো রাখা এবং সম্ভব হলে যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে জেনারেটর ও চার্জার লাইট প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তার পূজার সময় আতশবাজি থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যবহার করতে এবং পূজামণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ডিএমপি কন্ট্রোল রুম বা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কন্ট্রোল রুমে ফোন করতে বলা হয়েছে।
কন্ট্রোল রুম নম্বরগুলো হলো-
০১৩২০০০১২৯৯, ০১৩২০০০১৩০০, ০১-৫৫১০২৬৬৬৬, ০২-২২৩৩৮১১৮৮, ০২-৪৭১১৯৯৮৮, ০১৩২০০৩৭৮৪৫-৪৬, ০২-৪৮৯৬৩১১৭ ও ০১৭৭৭৭২০০২৯
এছাড়া, যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমও প্রস্তুত রয়েছে।
নম্বরগুলোর মধ্যে রয়েছে-
০২-২২৩৩৫৫৫৫৫৫ ও ০১৭১৩০৩১৮১-৮২১
আরও পড়ুন: এবছর বাগেরহাটে ৬৫২ মণ্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজিত
বরিশালে দুর্গাপূজায় ৩৬টি পূজামণ্ডপ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ: বিএমপি কমিশনার
৫৪৮ দিন আগে
নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেয়নি মার্কিন প্রতিনিধিদল, শুধু জানতে চেয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলের মূল বক্তব্য ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি তারা, জানতে চেয়েছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিশিয়ারি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিশিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। মামলাজট বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছে সেটি বলেছি।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি হয়নি: আইনমন্ত্রী
বুধবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
সংলাপের বিষয়ে কিছু বলেছে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, সংলাপ হবে কি না জানতে চাননি তারা। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন।
আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না- সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে করা সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়াও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়েও কথা হয়েছে।
আমি উনাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশের জনগেণের কাছে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ হবে।
এই সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইন এই উপমহাদেশে নেই- এদেশেও ৫০ বছর ছিল না, সেটি প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল। সেই পরিবর্তন করা হয়েছে।
আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচনসংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট আছে- সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
এ তিনটি জিনিস দেখেলেই বোঝা যাবে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটা তারা চায়।
আরও পড়ুন: হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফি: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী
৫৫৩ দিন আগে