ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাম হাত হারানো ১১ বছরের শিশু ও তার পরিবারকে কেন চার কোটি ২২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের অবহেলা, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ওই শিশুর বাবার করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
সোমবার শিশুর পক্ষে রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান ও মহাব্যবস্থাপক, ছাগলনাইয়া জোনের উপ মহাব্যবস্থাপক এবং সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক শেখ আজিজুল হক নিশানকে হাইকোর্টের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বিকাল ৪টায় ওই ভাড়া বাসায় রেজাউল করিম সোহাগ সরকারের ১১ বছরের ছেলে রাফি বারান্দায় খেলা করছিল। এ অবস্থায় তার হাতে থাকা ‘দৈর্ঘ্য পরিমাপের কাজে ব্যবহৃত একটি স্টিলের টেপ’ বারান্দা ঘেঁষা কাভারবিহীন বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে। বৈদ্যুতিক শকের কারণে রাফির বাম হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে গুরুতর জখম হয়।
বৈদ্যুতিক শকের পর শিশুটিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার্থে তার বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়।
এখন তার কৃত্রিম হাত সংযোজনে ৪০ লাখ টাকা লাগবে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ২২ লাখ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে।
বিকলাঙ্গ হওয়ায় ভবিষ্যৎ ক্ষতিপূরণ তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা। সর্বমোট চার কোটি ২২ লাখ টাকা ক্ষতি দেখিয়েছে শিশুটির বাবা।
এ বিষয়টি জানিয়ে ছাগলনাইয়া জোনের উপ-মহাব্যবস্থাপক বরাবর জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে শিশুর বাবা বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ মোটুয়ার শেখ আবুল হোসেন মাস্টারের ছেলে শেখ আজিজুল হক নিশানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন রেজাউল করিম সোহাগ সরকার।
আরও পড়ুন: সাবেক জিসিসি মেয়র জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল চ্যালেঞ্জে করা রিট খারিজ হাইকোর্টের