দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। দেশের ৯৭ শতাংশের বেশি এলাকা এখন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের আওতায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন, যে লক্ষ্য তিনি নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে আরও আধুনিক করে উন্নত করতে হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও তথ্য-প্রযুক্তি খাত একসঙ্গে কাজ করলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব।
বুধবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) হলরুমে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘পাওয়ার, এনার্জি অ্যান্ড ডিপ লার্নিং অ্যাপ্লিকেশন ফর ফোরআইআর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সেমিনারটি আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজন করে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইইই প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির জোসেফ আর লরিং অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. রনক আহসান। স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। আলোচক হিসেবে ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ও আইইইই ডব্লিউআইই কমিটি চেয়ার-ইলেক্ট ও বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, আমাদের এখন টেকসই উন্নয়ন ও সমুদ্র অর্থনীতিতে জোর দিতে হবে। বঙ্গোপসাগরে ইউরেনিয়াম পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। নবাগত গবেষকরা গবেষণা করে বের করবে, আমরা কীভাবে কাজে লাগাবো এই ইউরেনিয়াম। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, খাদ্য উৎপাদন সক্ষমতা তিনগুণ হয়েছে। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব নেয়ার সময় বাংলাদেশ বিরাণ ভূমি ছিলো। সেখান থেকে তিনি দেশ গড়ার কাজ শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে মেরিটাইম এ্যাক্ট করেন। তার সেই দূরদর্শিতা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন শেখ হাসিনা।
মূল প্রবন্ধকার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতি প্রণয়নের সময় পাঁচটি বিষয়ে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। যন্ত্র ও মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, শক্তি সংরক্ষণ করতে হবে, অপচয় রোধ করতে হবে, ক্রস বর্ডার এনার্জি শেয়ারিং করতে হবে, নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌরবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ ও পারমাণবিক শক্তির ওপর জোর দিতে হবে।
স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমাদের প্রচুর সম্পদ আছে, সুযোগও আছে। তথ্য-প্রযুক্তিতেও আমাদের অসাধারণ উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের