সরকার এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়াতে চায় না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছি। তবে আন্তর্জাতিক দিক থেকে যদি কোনো বড় পরিবর্তন আসে তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
২১ মার্চ পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে সোমবার মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সরকারকে ব্যাপক লোকসান গুণতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি ধাপে ধাপে কমানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ মার্চ পায়রায় দেশের প্রথম এক হাজার ৩২০ আলট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি মাইলফলকে পৌঁছাবে। কেননা বাংলাদেশে এটিই প্রথম আলট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্র যা পরিবেশবান্ধব।
এ সময় বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, এনডব্লিউপিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুরশেদ আলম, এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীর ও নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানি ২১ থেকে ২৪ মার্চ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট করে বাড়ছে।
উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উদ্বৃত্ত উৎপাদন না হলে আগামী গ্রীষ্মে দেশে লোডশেডিং হতে পারে।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে পেট্রোলিয়ামের দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) প্রতিদিন ৮০ কোটি টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই অবস্থা চলতে থাকলে মাসিক ক্ষতি হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা। এটি একটি বড় প্রশ্ন, আমরা এই বিশাল ক্ষতি কতদূর বহন করতে পারি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করা হলেও সঞ্চালন লাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বের কারণে ঢাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছাতে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।