বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের কমিটির প্রধানের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৈঠকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় আরইবি কার্যালয়ে নতুন চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: সেলিম উদ্দিন বিআরইবির নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত
পরে দুপুর ২টায় বিদ্যুৎ বিভাগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠিত কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. মকবুল হোসেন আশা প্রকাশ করেন, এসব সভা কার্যকরভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করবে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের দাবির পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন। চাকরির শর্তাবলীতে বৈষম্যের অবসান চেয়ে স্থায়ী কর্মসংস্থানের মর্যাদা সুরক্ষিত করার বিষয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের দাবি মানা না হলে গণছুটি ও পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন তারা।
তবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এসব দাবির কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে যে এসব আন্দোলন প্রশাসনকে অস্থিতিশীল করার বৃহত্তর কৌশলের অংশ হতে পারে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনেকেই পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলেই এই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বিআরইবির ৯৩,ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের ৮৭ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকায় বিদ্যুৎ বিভাগ অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চারজন, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের তিনজন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের দুজন প্রতিনিধি রয়েছেন।
সৈয়দ মাসুম বলেন, 'আমরা আশা করছি কমিটির প্রথম বৈঠকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সমস্যাগুলো নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করে একটি কার্যকর সমাধান হবে।’
গত ৮ আগস্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকার নিকুঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। তারপর এ অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা বাস্তবায়ন ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
পরে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত যেকোনো কর্মী বদলি স্থগিত রাখতে সম্মত হওয়ার পর অবরোধ থেকে সরে আসে আন্দোলনকারীরা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয় এবং দেশের বিদ্যুতায়ন প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়োগে বৈষম্যকে কেন্দ্র করে এই অভিযোগগুলো তৈরি হয়েছে। একই যোগ্যতা ও একই সমান কাজ করা সত্ত্বেও তাদের পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের সহকর্মীদের তুলনায় বৈষম্য করা হয় বলে অভিযোগ করছেন কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পে পোল ও ১৪০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কিনবে বিআরইবি