বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে দুটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রসেস ট্রেনের একটিতে উৎপাদন পুনরায় শুরু হওয়ায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং শেভরন বাংলাদেশ উভয়ই গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহের মাত্রার উন্নতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেভরন গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস উৎপাদন প্রতিদিন এক হাজার ১০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি)বৃদ্ধি পেয়েছে যা প্রক্রিয়াকালীন অবস্থায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ৮০০ এমএমসিএফডির কম ছিল।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদনের প্রকৃত ক্ষমতা এক হাজার ২০০ এর বিপরীতে এক হাজার ১০০ তে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস সরবরাহে ঘাটতিতে গ্রাহকদের ভোগান্তি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে আমরা ধীরে ধীরে সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে জরুরি মেরামতের কাজের কারণে বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে।
এই সংকটকালীন সময়ে ধৈর্যের জন্য মন্ত্রণালয় তাদের গ্যাস গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, শেভরন বাংলাদেশ একটি পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টকে পূর্ণ ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি করছে। প্ল্যান্টে ক্ষতিগ্রস্ত প্রসেস ট্রেনের একটিতে উৎপাদন এবং মাঠের চারটি কূপে ইতোমধ্যেই পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়েছে।
পেট্রোবাংলা ও তিতাস গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন, গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহে এখনও ঘাটতি থাকায় পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে।
কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি চিহ্নিত হওয়ার পর ৩ এপ্রিল (রবিবার) থেকে গ্যাস সরবারহ কমে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫ জেলার মানুষ উদ্বিগ্ন