প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে নগরীর নির্বচন ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকটি প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার শর্তে কমিশন খসড়া বিলটির অনুমোদন দিয়েছে। পরিবর্তন আনার পরে খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে (যাচাইয়ের জন্য) পাঠানো হবে।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এ নতুন পদক্ষেপকে হটকারী সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করে নতুন এ আইনের বিরোধিতা করে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছেন।
এতে তিনি বলেন, আমি এই সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করি। আরপিও-এর অংশবিশেষ নিয়ে পৃথকভাবে আইন প্রণয়ন হটকারী সিদ্ধান্ত।
কমিশনারের দাবি, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ একটি ঐতিহাসিক আইনগত দলিল। যা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার অনন্য স্মারক।
নির্বাচন কমিশনের এ প্রস্তাব গৃহীত হলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অঙ্গহানি ঘটবে। যাতে একে বিকলাঙ্গ মনে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে আরপিও সংশোধন করা যেতে পারে।
মাহবুব তালুকদার বলেন, দেশের দুটি বড় দলসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলও এ আইন কার্যকরের বিরোধিতা করেছে। আরপিওর চ্যাপ্টার সিক্স-এর বিভিন্ন আর্টিকেল কর্তন করে এ আইনটি করা হচ্ছে।
খসড়া আইনের বিষয়ে বলতে গিয়ে ইসি সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধকরণের বিষয়টি ১৯৭২ সালের আরপিওতে ছিল না। ২০০৮ সালে এটি আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যদিও নিবন্ধকরণ ইস্যুতে সেখানে পৃথক আইন করারও প্রস্তাব ছিল। সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে তাড়াতাড়ি করে আরপিওতে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
মো. আলমগীর বলেন, বর্তমান কমিশন মনে করে আরপিও থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের অংশটি বের করে নিয়ে আলাদা আইন হওয়া উচিত। তবে, সব আইন বাংলায় করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
আরপিও কেবল সংসদ নির্বাচনের জন্য কার্যকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচনও রাজনৈতিক দলের প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুতরাং, স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও নিবন্ধকরণের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইসি সচিব বলেন, আরপিওতে যদি নিবন্ধন সম্পর্কিত বিধান রাখা হয় তবে স্থানীয় নির্বাচনের জন্য আলাদাভাবে এটি তৈরি করা দরকার।
আরপিও থেকে নিবন্ধনের অংশটি বের করে দিলে এবং একটি পৃথক আইন তৈরি করা হলে তাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না, বলেন তিনি।