বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’ ও তিনজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে এই রিট করেছেন।
ভুক্তভোগী তিনজন হলেন ক্রিকেটার নাসিরের স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির সাবেক স্বামী রাকিব হাসান, সোহাগ হোসেন ও কামরুল হাসান।
রিটের পক্ষে আইনজীবী হলেন ইশরাত হাসান। রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সচিব এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের অপরাধ তদন্তে ‘স্বাধীন কমিশন’ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
রিট আবেদনে বলা হয়, বিয়ে ও বিবাহ বিচ্ছেদের রেজিস্ট্রেশনের আইনগত বিধান থাকলেও তা ডিজিটাল না করার ফলে অসংখ্য প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও, বিয়ে গোপন রেখে ডিভোর্স না দিয়ে বিয়ের ঘটনা ঘটছে। এর ফলে, সন্তানের বাবার পরিচয় নিয়েও জটিলতা দেখা যাচ্ছে। বিয়ে সংক্রান্ত অপরাধ বেড়ে অসংখ্য মামলার জন্ম নিচ্ছে। তাই, বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল হওয়া একান্ত আবশ্যক। যাতে যেকোনো ব্যক্তি বিয়ে বা ডিভোর্স দিলে তা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সার্চ দিয়ে তথ্য বের করা সম্ভব হয়। এতে করে সাধারণ মানুষ প্রতারণার হাত থেকেও রক্ষা পাবে।
রিটে বিয়ে ও বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি দেনমোহরের প্রসঙ্গও তুলে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বিয়েতে অযাচিতভাবে পাত্রপক্ষের কাছে দেনমোহরের দাবি করা হয়। তাই এসব বিষয়ে সুরাহা হওয়া প্রয়োজন বলে রিটে আরজি জানানো হয়।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে বিয়ে ও বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন করার নির্দেশনা চেয়ে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ পাঠানো হয়। ক্রিকেটার নাসিরের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির আগের স্বামী রাকিব হাসানসহ তিন ব্যক্তি ও এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ নোটিশ পাঠান।
আরও পড়ুন: দেশের সব ভাস্কর্যের সুরক্ষা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় ক্রিকেটার নাসির ও কেবিন ক্রু তামিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ওই বিয়ের ঘটনা প্রচারের পর তামিমা তার প্রথম স্বামী রাকিবকে ডিভোর্স না দিয়েই পুনরায় বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান।