ব্রুনাই দারুসসালামে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ হাইকমিশনের চ্যান্সারি প্রাঙ্গনে দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনান নাহিদা রহমান সুমনা।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হিসেবে গর্বের সঙ্গে অবিহিত করেন এবং তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অপরিসীম গুরুত্ব ও তাৎপর্য সবার কাছে তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ নামে এই সুন্দর দেশটির অভ্যুদয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জাতির পিতার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের সুখ-দুঃখ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করার আশ্বাস দেন।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্দীপিত হয়ে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করার, ব্রুনাইয়ের আইন-কানুন মেনে চলার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত করার উপদেশ দেন।
এছাড়া, ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা