মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ড পেয়েছেন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সামরিক শাখার প্রধান মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ও মো. আরাফাত রহমান। তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলার রায় আজ
আরেক আসামি শফিউর রহমান ফারাবিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জিয়াউল ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।
অভিজিৎ রায় হত্যায় ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে জঙ্গিরা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা চালায়। অভিজিৎকে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কোপানো হয়। বন্যা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও কুপিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধা আঙুল কেটে ফেলে এবং মারাত্মক আহত করে। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিজিৎ মারা যান।
এ ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
অভিজিৎ রায় হত্যায় ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, লেখালেখি ও ভিন্নমতের জন্য অভিজিৎকে অনেক আগেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়। ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ও ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ নামে দুটি বইকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় আনসার আল ইসলাম।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ১১ এপ্রিল ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। বিচারক ১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।