বৃহস্পতিবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান অভিযোগ গঠন করে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনাল ১১ এপ্রিল ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৩৪ জনকে।
বাকি পাঁচ আসামি হলেন- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, মো. আরাফাত রহমান ও শফিউর রহমান ফারাবি। তাদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।
অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, লেখালেখি ও ভিন্নমতের জন্য অভিজিতকে অনেক আগেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়। ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ও ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ নামে দুটি বইকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় আনসার আল ইসলাম।