ঢাকার আদাবরে ভগ্নিপতির দেয়া আগুনে দগ্ধ ভাই-বোনের মধ্যে একজন মারা গেছে। শুক্রবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দগ্ধ মিতু (১০)। তার শরীরের ৯৮ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জীবনের সঙ্গে লড়াই করে সে মারা যান।
নিহত মিতুর ৫ বছর বয়সী ভাই বাপ্পি দুই হাতের আট শতাংশ দগ্ধ হয়ে বর্তমানে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বাসায় আগুন লেগে দগ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু
হতাহতরা একই এলাকার পান বিক্রেতা বাবুল তালুকদার ও পোশাক কর্মী আকলিমা আক্তার দম্পতির সন্তান।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর আদাবর এলাকার সুনিবির হাউজিং সোসাইটির একটি ভবনের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ভবনের মালিক আব্দুল মালেক জানান, নিবির হাউজিংয়ের নিচতলার ৭ নম্বর রুমে দগ্ধদের দুলাভাই রিকশাচালক আলাউদ্দি ও তার স্ত্রী মৌ বাসায় থাকেন। মঙ্গলবার হঠাৎ করে দুই শিশু আগুন আগুন করে চিৎকার দিলে সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে বিকাল ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করি।
আরও পড়ুন: রামপুরায় গোডাউনে আগুন, দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
আলাউদ্দিনের প্রতিবেশী আরিফ বলেন, শিশুদের কান্না শুনে আমরা তাদের বাসায় ছুটে যাই কিন্তু বাইরে থেকে তালা দেয়া ছিল। দরজা ভেঙে দেখলাম শিশু দুটির আগুনে পুড়ে যাচ্ছে।
দগ্ধ বাপ্পী জানায়, বাসার পাশের রাস্তা থেকে দুলাভাই আলাউদ্দিন তাদের দুই ভাই-বোনকে ঘুরতে নিবে বলে বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর বাসার বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।