খুলনার অভয়নগরের ভৈরব নদীতে কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নওয়াপাড়া এলাকায় এমভি সাকিব বিভা-২ জাহাজটির তলা ফেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে প্রায় ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লা ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে এইচ এম গ্রুপ ইন্দোনেশিয়া থেকে ওই কয়লা আমদানি করে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় বন্দরে এনেছিল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে এসব কয়লা বড় জাহাজে করে প্রথমে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় আনা হয়। সেখান থেকে প্রায় ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লা ছোট কার্গো জাহাজ এমভি সাকিব বিভা-২-এ তোলা হয়।
গত শনিবার সকালে নওয়াপাড়ার উদ্দেশে কার্গো জাহাজটি রওনা দেয়। শনিবার রাতে জাহাজটি অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নোনাঘাট এলাকায় ভৈরব নদের ঘাটে পৌঁছায়। জাহাজটি নোঙরের জন্য অপেক্ষায় ছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজডুবি, ১৩ জন উদ্ধার
রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদে ভাটা ছিল। এ সময় কার্গো জাহাজটি ঘোরানোর সময় নদের মাটির সঙ্গে জাহাজের তলায় সজোরে আঘাত লাগে। এতে তলা ফেটে জাহাজে পানি উঠতে থাকে এবং জাহাজটি ধীরে ধীরে নদে তলিয়ে যেতে থাকে। প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহাজটি ডুবে যায়।
এমভি সাকিব বিভা-২-এর মাস্টার মো. বেল্লাল হোসেন জানান, নওয়াপাড়া নোনাঘাটের পাশে জাহাজটি ভেড়ানো হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদে ভাটা ছিল। এ সময় কার্গো জাহাজটি ঘাটে নোঙর করার জন্য ঘোরানো হচ্ছিল। হঠাৎ নদের শক্ত মাটির সঙ্গে জাহাজের তলায় সজোরে আঘাত লাগে। এতে জাহাজের তলা ফেটে যায়। এরপর জাহাজে পানি উঠতে থাকে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজের নিচতলা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। তবে জাহাজের ওপরের তলা পানির ওপরে রয়েছে বলে জানান মাস্টার বেল্লাল হোসেন।
তিনি আরও বলেন,জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে মাস্টার, সুকানিসহ মোট ১১ জন ছিলেন। সবাই সাঁতরে তীরে উঠেছেন।
এ সময় জাহাজে প্রায় প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টাকার কয়লা ছিল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে এইচ এম গ্রুপের লজিস্টিক ব্যবস্থাপক রাহুল দেব বিশ্বাস বলেন, কয়লা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সোমবার থেকে কয়লা উদ্ধারের কাজ শুরু করা হবে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধার শেষ হলে তা বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: শিবসা নদীতে ফ্লাইঅ্যাশবোঝাই জাহাজডুবি, ১২ নাবিক উদ্ধার