এখন থেকে কেউ মব জাস্টিস কিংবা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে ওই স্থান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, ‘যে অপরাধী তাকে আমরা ওখানেই গ্রেপ্তার করব। আমরা একদিনও অপেক্ষা করব না। ওখান থেকেই তুলে নিয়ে আসব।’ রবিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতন ও হয়রানির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘ আইন হচ্ছে অন্ধ, যেই অপরাধী হন, তার জাত-পাত, বর্ণ দেখা হবে না। লিঙ্গ দেখা হবে না, নারী কী পুরুষ।’
তিনি বলেন, ‘যিনি মব জাস্টিস করুন না কেন—ধার্মিক হোক, অধার্মিক হোক না কেন—তাকে আইনের আওতায় নেওয়ার বিষয়ে আজ থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আজ আমরা প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি— সামনে থেকে মব জাস্টিস পরিস্থিতি তৈরি হলে, থানা ঘেরাও থেকে শুরু করে কোনো ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, আমরা কঠোর ভূমিকা রাখব।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার থেকে শুরু করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা সেখানেই আমরা নেব। এ বিষয়ে সকল অংশীজনদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নতুন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে যেসব জায়গায় মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটেছে, যথাযত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলা হলে বা আমাদের দিক থেকেও যদি আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। এই যে মব জাস্টিস- এখানে ওখানে গিয়ে ডাকাতি, এর ওর সম্পত্তি দখল বা এজাতীয় যতগুলো ঝামেলা আছে, যতগুলো জটিলতা এই সমাজে তৈরি হয়েছে, অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, এখন থেকে এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্স ভূমিকা উত্তীর্ণ হব। যেখানে মব জাস্টিস পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সে যেই হোন না কেন। সে ধর্মের যে লিঙ্গের যে বর্ণের হোন না কেন- এখন থেকে কঠোর ভূমিকা অবতীর্ণ হব।’
শাহবাগের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা নজরদারিতে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত সাত-আট মাসের যে যেখানেই ঝামেলা করেছে, যে যেখানে মব জাস্টিস করেছে—আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা সক্রিয় আছে। আমরা বলেছি আরও কার্যকর পদ্ধতিতে সবকিছু নজরদারিতে আনার জন্য। আজকে থেকে আমরা সমন্বিতভাবে সব তথ্য সংগ্রহ করে, যে অপরাধী তাকে আমরা ওখানেই গ্রেপ্তার করব। আমরা একদিন অপেক্ষা করব না। ওখান থেকেই তুলে নিয়ে আসব।’
তিনি আরও জানান, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে সচেতনতা বাড়াতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কর্মসূচি নেওয়া হবে। এছাড়া যে ইস্যুগুলো রয়েছে যেমন আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত, মব জাস্টিস ইস্যু আছে, মিলিটেন্সি ইস্যু হয়তো সামনে আসতে পারে, আরও কিছু ইস্যু আছে—যে সবগুলো আছে সেগুলো যাতে মিডিয়ায় ভালোভাবে উপস্থাপিত হয়, সেই বিষয়ে মনিটর করার চিন্তা-ভাবনা করছি। সেগুলোতে মিডিয়া কিভাবে ফোকাস করবে এ বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা মিডিয়াগুলোর সঙ্গে বসব। আমরা এই স্টাবলিশমেন্টটা ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করব, যাতে জনগণ সঠিক তথ্যটা পেতে পারে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ৬ থেকে ৭ মাস ধরে এই সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ভেতর ও ভারত থেকে কমিউনিকেশন ওয়ার ফেয়ার চলছে। আমাদের জায়গা থেকেও আমরা এখন থেকে কাউন্টার কমিউনিকেশন ওয়ার ফেয়ারে যাব।’