প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে কোভিড -১৯ মহামারি চলাকালীন সরকার যখন অনলাইনে ক্লাস চালুর চেষ্টা করেছিল, সেসময় বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভার্চুয়াল বা অনলাইন ক্লাস চালুতে পিছিয়ে ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমাকে দুঃখজনক কিছু কথা শেয়ার করতে দিন। আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মহামারি চলাকালীন শিক্ষায় ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে কিছুটা ধীরগতির ছিল। তারা অনেক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায়)পিছিয়ে ছিল।’
সোমবার ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আইসিটি বিভাগ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারির সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন ক্লাসে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছিল।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্রুত তা (অনলাইন ক্লাস) শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যাল তা পারেনি। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও (তাৎক্ষণিকভাবে শুরু হয়নি)।’
তিনি বলেন, বারবার অনুরোধের পর দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন ক্লাস চালু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘যখন একটি ব্যবস্থা আমাদের জন্য উপকারী,আমরা কেন তা গ্রহণ করব না?’
তিনি জানান যে তিনি শুধু ভাবছিলেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ না থাকলে কোভিড-১৯ মহামারির সময় কী হতো! ‘সবকিছু স্থবির হয়ে যেত।’
আরও পড়ুন: অভিযোজন গ্লোবাল হাব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী