মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় শেরপুর পৌরসভার এক নারী কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে মারধোর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শহরের দিঘারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত নাজমা বেগম (৪৫) শেরপুর পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর (৭-৮-৯ নং ওয়ার্ড)। তিনি সাবেক কাউন্সিলর হারুন-অর রশিদের মেয়ে।
জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় কাউন্সিলর নাজমাকে ২৫০ শয্যার শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে হামলার ৬ষ্ঠ বার্ষিকী, তীর-ধনুক নিয়ে সাঁওতালদের শোক র্যালি
আহত নারী কাউন্সিলরের বাবা হারুন-অর রশিদ বলেন, ‘শহরের দিঘারপাড় মহল্লার টেপু মিয়ার ছেলে শহীদ ও রফিকুলসহ ওই পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে মাদক বেচাকেনা করে আসছে। কাউন্সিলর নাজমা এ ব্যাপারে তাদের বেশ কয়েকবার সতর্ক করেন। এতে ক্ষেপে যায় মাদক বিক্রেতারা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় পুলিশ আসে। এসময় মাদক বিক্রেতারা মনে করেন নাজমা পুলিশ এনেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শহীদ ও রফিকুল সহ তাদের স্বজনরা লাঠিসোটা নিয়ে নাজমার বাড়িতে হামলা করে। এসময় প্রাণভয়ে বাড়ির লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে নাজমাকে একা পেয়ে মারধোর করে অভিযুক্তরা। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’
আহত নারী কাউন্সিলর বলেন, ‘আমাকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের মারধোরে আমার কোন জ্ঞান ছিল না।’
তবে অভিযুক্ত শহীদ ও রফিকুল তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, ‘এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা নাজমার বাড়িতে হামলা করে তাকে মারধোর করেছে।
তিনি বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আমরা রবিবার মানববন্ধন করবো।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা