একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এ কে আমিনুল হক ওরফে রজব আলীর বাড়ি (৬৯) কিশোরগঞ্জে।
র্যাব সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাতে রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাবের গোয়েন্দা বাহিনী ও র্যাব-২ এর একটি দল রজব আলীকে আটক করে।
২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার জন্য রজব আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এ সময় ১৯৭১ সালে কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন ও অপহরণে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
আরও পড়ুন: আড়াইহাজারে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা
তিনি ভৈরবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য এলাকায় ‘আল-বদর’ বাহিনী গঠন করেন এবং কিশোরগঞ্জ জেলার কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর রজব আলী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
১৯৭২ সালে তার বিরুদ্ধে অষ্টগ্রাম থানায় পাঁচটি মামলা হয়। এসব মামলায় তাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৮২ সালে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান, কারণ তিনি মাত্র ১০ বছর কারাবাসের পর রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমা পেয়েছিলেন।
পরে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে পালিয়ে গিয়ে কয়েকবার পাকিস্তানে যান। ১৯৯৭ সালে রজব আবার ঢাকায় আসেন।
২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর তদন্তকারী সংস্থা রজব আলীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র জমা দেয়, তারপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভাইয়ের মৃত্যু, সাড়ে ৫ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্ত হাজী সেলিম