তিনি বলেন, ‘আমরা মানবপাচার ও অর্থপাচার বন্ধ করতে কত চেষ্টা চালাচ্ছি। এ সময় একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কুয়েতে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কুয়েতের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম (পাপুল) এর বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে সে দেশের সরকার আমাদের অফিসিয়ালি কিছু জানায়নি।’
‘ওই দেশের সরকার যদি আমাদের এ সাংসদের বিষয়ে জানায় তবে আমরা আমাদের দেশে নিয়ম অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেব। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ব্যাপারে অর্থাৎ মানবপাচার ও অর্থপাচারের বিষয়ে জিরো টলারেন্সে নীতি মেনে চলেন। সে যে দলেরই হোক না কেন, নিজের দলের হলেও তাকে শাস্তি পেতে হবে,’ যোগ করেন ড. মোমেন।
তিনি বলেন, ‘সাংসদ শহিদ কোনো সরকারি পাসপোর্ট নিয়ে যাননি। উনি ওখানে ২৯ বছর ধরে ব্যবসা করেন। ওখানে উনি কোম্পানির সিইও ও এমডি।’
কুয়েত সরকার তাকে বাংলাদেশের এমপি হিসেবে গ্রেপ্তার করেনি, করেছে একজন ব্যবসায়ী হিসাবে। তিনি বোধহয় ওখানকার লোকাল রেসিডেন্ট, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার নিয়োগের চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এ মাসেই তার মেয়াদ শেষে তিনি চলে আসবেন। নতুন রাষ্ট্রদূত কে হবেন তাও আমরা চূড়ান্ত করে ফেলেছি।’
তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘কুয়েত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হলে তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।’