প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে কোনে প্রভাব ফেলবে না।
সোমবার রাজধানীতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, অন্যান্য দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন তৈরি করে তা স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম নয়। তাই, সব প্রতিবেদনই সঠিক নয়। এছাড়াও, সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, জ্বালানি খাতসহ সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করতে ২২টি মার্কিন কোম্পানির একটি প্রতিনিধিদল মে মাসে বাংলাদেশ সফর করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানিতে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) সুবিধার জন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি সম্পর্কে সালমান বলেন,‘ ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া জিএসপি সুবিধা পুনরুদ্ধার করতে বর্তমান মার্কিন আইন সংশোধন করা দরকার। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমাকে বলেছেন যে এটি সহজ কাজ নয়।’
পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
এ সময় পিটার হাস বলেন, ‘আমরা দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি রহমানকে বলেছি যে অর্থনীতি আমাদের জন্য পারস্পরিক উন্নয়নের একটি ক্ষেত্র হতে পারে।’
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল ‘বাংলাদেশ ২০২১ হিউম্যান রাইটস রিপোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও শ্রম ব্যুরো প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও নির্যাতনের’ মতো অভিযোগ থাকলেও তারা ‘দায়মুক্তি’ পেয়ে আসছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে আ.লীগ সরকারের অপকর্ম, চরম দুঃশাসন তুলে ধরা হয়েছে: বিএনপি