মানহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আইন অনুযায়ী তাদের বিরদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে হেনস্থা করতে চাচ্ছি না। যারা ভালো করছেন তাদের সহযোগিতা করব। কিন্তু যারা অন্যায় করবেন আমরা তাদের সঙ্গে নেই। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বুধবার (১ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত জাতীয় স্বাস্থ্য ও দিবস-২০২২ উপলক্ষে 'কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধম্য যাত্রা' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবায় ১১ হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কাজ করছে। এর মাঝে অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদের কারণে যাতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত না হয় সে দিকে আমরা নজর দিচ্ছি।
দেশে অসংক্রামক রোগের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে অসংক্রামক রোগ নিয়ে কাজ করতে পারিনি, তাই এই সুযোগে অনেকটাই বেড়েছে। এখন আমরা অসংক্রামক রোগ নিয়ে কাজ করছি।
পড়ুন: জুনে ৫-১২ বছরের শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগে ৬৭ ভাগের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, তাই এটাতে গুরুত্ব দিতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা শুধুমাত্র সরকারিতেই থাকে না, প্রায় অর্ধেক হয় বেসরকারিতে। কোভিডে বেসরকারি হাসপাতালগুলোও অনেক ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ ও ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে। দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া গেছে। এখনো ৮ থেকে ১০ কোটি মানুষ বুস্টার ডোজের বাইরে। আগামী ৪ জুন থেকে বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু হবে। বুস্টার নিয়ে আমরা আরও সুরক্ষিত থাকব।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার শুরুতে হাতে গোনা কয়েকটি মেডিকেল কলেজ ছিল। বর্তমানে ২০টির মতো ইনস্টিটিউট আছে। তখন কত শয্যা ছিল, বর্তমানে ৬০ হাজার শয্যা। প্রাথমিত স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক, পরিবার পরিকল্পনা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভূমিকা অনেক বেশি। প্রতিটি উপজেলা এখন ৫০টি শয্যা রয়েছে।
বর্তমানে আমাদের জনবল অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও জনবল বৃদ্ধি করে আমরা সেবার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। বর্তমানে ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, আগে যেখানে একটিও ছিল না। অনেক হাসপাতাল এখন ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় এসেছে। আগামীতে সব হাসপাতালকেই এর আওতায় আনতে হবে। সফলতার সাথে করোনা মোকাবিলা করেছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সক্ষমতায় বিশ্বে করোনা মোকাবিলায় আমরা পঞ্চম ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছি। পড়ুন: বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী