মানিকগঞ্জ শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে মানিকগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরাও জড়িয়ে পড়ে। এতে এই তিন সংগঠনের অন্তত ছয়জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সংঘর্ষের কারণে শহীদ বেদিতে ফুল দিতে আসা মানুষেরা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জেলার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সংঘর্ষ ঘটে।
আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আহসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সানজিদ কাজল ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জসিম উদ্দিন।
পুলিশ, দলীয় নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা শ্রমিক লীগের বাবুল সরকার ও আবদুল জলিল গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
এর জের ধরে সকালে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে জেলা শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থিত শহীদ মিনারে যান। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগ ফুল দেয়ার পর পর্যায়ক্রমে জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এ সময় শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা আলাদা ব্যানারে ফুল দেয়ার জন্য শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান ফুল দেয়ার জন্য জেলা শ্রমিক লীগের নেতা আবদুল জলিলের নাম ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো নিয়ে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০