মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত ভিসা বিধিনিষেধ নীতিতে গণমাধ্যমের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করেননি।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘আমি বলব যে শুক্রবার আমাদের ঘোষিত এই নতুন ভিসা বিধিনিষেধের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত মে মাসে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। সে সময় কোনো পক্ষ নেওয়া উদ্দেশ্য ছিলনা। বরং বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা বা সমর্থন করা প্রকৃত উদ্দেশ্য।
ভিসা বিধিনিষেধে গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, 'আমি মনে করি আমরা যা বলেছি এবং ভিসা রেকর্ড গোপনীয় হওয়ায় আমরা নির্দিষ্ট সংখ্যা বা নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম প্রকাশ করিনি। তবে এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে এগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী ঢাকা: শাহরিয়ার আলম
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মন্তব্যের পর বিষয়টি স্পষ্ট করে মার্কিন দূতাবাস সোমবার একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছে, ‘আমরা (ভিসা সীমাবদ্ধতা) নীতিটি যে কারো বিরুদ্ধে ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে প্রয়োগ করছি (যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে)। এর মধ্যে সরকারপন্থী, বিরোধী দল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্য বা মিডিয়া ব্যক্তিরা রয়েছে।’
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেছেন, যে কাউকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে ‘ক্ষুণ্ণ’ করতে দেখা গেলে ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতিটি তার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘এর মধ্যে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়ার জন্য সহিংসতার ব্যবহার এবং পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দল বা ভোটারকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা কিংবা সুশীল সমাজ বা মিডিয়াকে তাদের মতামত প্রকাশ করতে বাধা দেওয়ার কাজে জড়িত থাকার জন্য নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম কর্মীরাও ভিসা নীতির মুখোমুখি হতে পারে: হাস