বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভারতে তার সাম্প্রতিক সফরে মিজোরামের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আর. লালথাংলিয়ানার সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্যের প্রচার নিয়ে আলোচনা করেছেন।
শনিবারের বৈঠকে লালথাংলিয়ানা বাংলাদেশের কাছে সিলসুরি (ভারত)- সাজেক (বাংলাদেশ)-এ বর্ডার হাট স্থাপনের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন।
উভয় পক্ষের বাণিজ্যকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়ে একত্রিত করার লক্ষ্যে মিজোরাম সরকার কাওরপুইচুয়াতে আইসিপি-এর সংলগ্ন থেগামুখে আইসিপি আকারে মিলিত অবকাঠামো স্থাপনের সম্ভাবনা ও কার্যকারিতা অন্বেষণে প্রস্তাব করেছিল বাংলাদেশকে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,মিজোরাম রাজ্য সরকারের লিখিত অনুরোধ প্রাপ্তির পরে,এই প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হবে।
মিজোরাম সরকারও প্রস্তাব জানিয়েছে, সংযোগ আপগ্রেড করার জন্য বাংলাদেশ ছোট হোরিন থেকে থেগামুখ পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের সম্ভাবনা বিবেচনা করে এবং এই বিষয়ে একটি অনুরোধ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
এছাড়াও, প্রস্তাবিত মিজোরামের অভ্যন্তরীণ জল পরিবহন ও বাণিজ্য সংক্রান্ত ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকলের একটি রুটের মধ্যে খাওথলাংটুইপুই (কর্ণফুলি) নদী অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
মিজোরামের মন্ত্রী বলেছেন, প্রস্তাবিত ৬৬০ মিটার সেতুর কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য মিজোরাম সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হবে যা খাওতলাংতুইপুই বা কর্ণফুলি নদী জুড়ে দুই দেশকে সংযুক্ত করে।
আরও পড়ুন: জনগণ পণ্যের ওপর কর কমানোর সুফল পাচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ পাওয়ার পর, এই সেতু নির্মাণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষই চেষ্টা করবে কার্যকর স্থানে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অবকাঠামো প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবস্থার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে।
এর আগে ১৯ এপ্রিল, টিপু মুনশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (সিএম) মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করেন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অভিন্ন স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দিনব্যাপী ব্যবসায়িক ইভেন্ট ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’-এ অংশ নিতে বাণিজ্যমন্ত্রীর এ সফর।
আরও পড়ুন: সিরামিক শিল্পের বিকাশে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী