মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে মিরপুর, মিরপুর ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও বিমানবন্দরে যানবাহন চলাচল সহজ হবে।
এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর বালুর মঠ সংলগ্ন কালশী মোড়ে একটি অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী যান চলাচলের উদ্বোধন করবেন।
দুই হাজার ৩৩৫ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কয়ার থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে কালশী সার্কেল ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারে একনেকে অনুমোদন পায়।
এটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী পর্যন্ত তিন দশমিক ৭০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) প্রায় এক হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
প্রকল্পের তথানুযায়ী, ফ্লাইওভারটি দেখতে ইংরেজি বর্ণমালা ‘ওয়াই’-এর মতো।
যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এর আগে চার লেনের রাস্তাগুলোকে ছয় লেনে প্রশস্ত করা হয়েছে।
প্রধান চার লেনের ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী এবং মিরপুর ডিওএইচএসের দিকে সংযু্ক্ত হয়েছে এবং একটি দুই লেনের র্যাম্প কালশী মোড় থেকে কালশী রোড পর্যন্ত নেমেছে।
আরও পড়ুন: সমু্দ্র অর্থনীতি ও নিরাপত্তা জোরদারে কোস্টগার্ড আরও শক্তিশালী হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্পের মধ্যে একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ সম্প্রসারণ, দুটি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ, একটি পাবলিক টয়লেট, দুটি পুলিশ বক্স, একটি সাত দশমিক ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন এবং প্রসস্ত ড্রেন, একটি একহাজার ৭৫৫ মিটার আরসিসি পাইপ ড্রেন, রিটেইনিং ওয়াল, তিন হজার ৩৮৩ মিটার যোগাযোগ নালা, ৮ লাখ-লিনিয়ার মিটার বালির কম্প্যাকশন পাইল, পৃথক সাইকেল লেন এবং ছয়টি বাস বে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।