কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। সোমবার কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ওই তিনজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে হত্যার মিশনে অংশ নেয়া দুইজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর তিনজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
রিমান্ড আবেদন করা গ্রেপ্তার তিনজন হলো- কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি-৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন, একই ক্যাম্পের বি-ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নূর ইসলামের ছেলে নূর মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ১৬৪ ধারায় আসামি ইলিয়াসের জবানবন্দি
জেলা পুলিশের সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানান, গত শনিবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে এপিবিএন পুলিশ মুহিবুল্লাহ কিলিং স্কোয়াডের সদস্য আজিজুল হকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে কিলিং স্কোয়াডের শীর্ষ পাঁচজনের একজন আজিজুল হক হত্যার দায় স্বীকার করে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর তিনজনের জন্য আদালতে পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন। এর আগে মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে ইলিয়াস নামে এক রোহিঙ্গা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে দুইজন।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক মো. নাইমুল হক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক জানিয়েছেন, মুহিবুল্লাহ হত্যাকান্ডে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ১৯ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে গ্রেপ্তার আজিজুল হকসহ পাঁচজন আগ্নেয়াস্ত্রধারী ছিল। গ্রেপ্তার আজিজুল হকের দেয়া তথ্যমতে গ্রেপ্তার করা হয় রিমান্ড আবেদন করা গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মোহাম্মদ রশিদ, মোহাম্মদ আনাচ ও নূর মোহাম্মদকে। এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট ডি-ব্লকে নিজ অফিসে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। নিহত মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী