প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দ্রুতগতি ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গণপরিবহনব্যবস্থা মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন।
সভায়, প্রধানমন্ত্রী জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহায়তায় ও সরকারের মালিকানাধীন ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) এমআরটি লাইন ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ এর কাজের অগ্রগতি নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা অবলোকন করেন।
ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় এমআরটি লাইন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত ‘টাইম বাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান ২০৩০’ এর অগ্রগতি নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দেন।
সেইসাথে, তিনি মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এমআরটি লাইন সম্প্রসারণের সমস্যাগুলো তদন্তের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী আসাদুজ্জামান মিয়াকে নির্দেশ দেন।
বৈঠকে উত্তরা-আগারগাঁও অংশের প্রায় ৪৬ শতাংশ এবং আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের ২৪ শতাংশ কাজ এখন পর্যন্ত শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়।
ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এমআরটি লাইন-৬ এর কাজের প্রায় ৩০ শতাংশের সামগ্রিক অগ্রগতি হয়েছে, উত্তরা মতিঝিল অংশে প্যারাপেট ওয়াল দিয়ে ভায়াডাক্ট নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
এম এ এন সিদ্দিক ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৬ কাজ শেষ করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন।
বৈঠকে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত সময়সীমা ২০৩০ এর মধ্যে এমআরটি লাইন স্থাপনের কাজ শেষ করে শহরজুড়ে আধুনিক ও ভূগর্ভস্থ রেল যোগাযোগ নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
তারা আশা করেন, এ প্রকল্পের কাজ একবার শেষ হয়ে গেলে রাজধানীবাসী বিশ্বের অন্যান্য আধুনিক ও বড় শহরের মতো অত্যাধুনিক মেট্রোরেল ব্যবস্থা পাবে।