যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার ইকুইটি রাইটস অ্যান্ড গভর্নেন্স ট্রাস্টের করা এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ অ্যান্ড ড্রাফটিং শাখার সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মনজুর আলম।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো শাস্তির বিধান উল্লেখিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘মৃত্যু ঘটানোর জন্য মৃত্যুদণ্ড বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উভয় ক্ষেত্রে উক্ত দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।’
এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ডিসেম্বরে হাইকোর্টে রিট করে সংগঠনটি। আজ (রবিবার) ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে ডাক্তার স্ত্রীর করা মামলায় ডাক্তার স্বামী গ্রেপ্তার